কোথাও আমরা আইনের শাসন পাচ্ছি না : ড. ইউনূস

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসনোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস

Dat

আইনের শাসন বলে যে একটা জিনিস, সেটা আমরা কোথাও পাচ্ছি না বলে মন্তব্য করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

তিনি বলেন, আমার ও দেশের মানুষের ওপর বালা-মুসিবত এসেছে, দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, এ থেকে রেহাই না পেলে মুক্তি নাই। একটা বালা-মুসিবত পৃথিবীর চারদিকে ঘিরে আছে। সেই মুসিবত থেকেও আমাদের উদ্ধার পেতে হবে। সেই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমরা কিছুটা নির্দেশনা দিতে পারছি যে, এই পথে গেলে আমরা মুক্তিটা পাব।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে অর্থপাচার ও আত্মসাতের মামলায় ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে হাজিরা শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি। 

দেশের বালা-মুসিবত কী জানতে চাইলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আপনারা তো রোজ লিখছেন সেটা কী, আমাকে বলতে বলছেন কেন? বালা-মুসিবত হচ্ছে মানুষ যেভাবে বাঁচতে চায়, যেভাবে থাকতে চায়, সেভাবে থাকতে পারছে না। আইনের শাসন বলে যে একটা জিনিস, সেটা আমরা পাচ্ছি না কোথাও। রোজ আপনারা লিখছেন সেগুলো, আমরা আপনাদের কাছ থেকে তো শিখছি, বুঝে নিচ্ছি।
আপনি কোথায় দেখছেন আইনের শাসন নেই—জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমি কাগজের বস্তাটা আপনার হাতে তুলে দেই। এটা আপনি পাতা উল্টে উল্টে লিস্ট করেন, আমি বলে দেবো। অসুবিধা নেই তো। এগুলো আপনারা দেখবেন।’ 

আপনি কীভাবে দেখছেন এমন প্রশ্ন করলে ড. ইউনূস বলেন, আপনারা যেভাবে দেখছেন, আমিও সেভাবে দেখছি। দেশের একজন নাগরিক হিসেবে দেখছি, আপনিও দেশের নাগরিক হিসেবে দেখেন। আমরা তো দেশের অংশীদার। আমরা সবাই মিলেই তো এ দেশ।আদালত আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিলেন। আপনি ন্যায়বিচার পাচ্ছেন কি না? জানতে চাইলে জবাবে ড. ইউনূস বলেন, এখনো তো বিচার শুরু হয়নি।
তিনি বলেন, আমার মাঝে মাঝে খুব দুঃখ হয়, সারা পৃথিবী যেখানে আমাদের থেকে শিখতে চায়, আমাদের সেটাতে গৌরব বোধ করার কথা। সেটা না করে আমরা এমন কাজ করছি যে, আমরা যেন পাপের কাজ করে ফেলেছি। এমন অনুভূতি হওয়ার তো কারণ ছিল না। আমরা কাউকে বাধ্য করছি না, সারা দুনিয়া থেকে লোকজন উৎসাহ নিয়ে আসছে। সেই সুযোগটা আমরা দেবো না কেন?
বাধাপ্রাপ্ত কেন হচ্ছেন এমন প্রশ্ন করলে ড. ইউনূস বলেন, সেটা আপনারা বিচার করেন। আমরা কী ব্যাখ্যা দেবো বলেন? 

ড. ইউনূস বলেন, আমার অনুরোধ, এই রমজান মাসে আমরা সবাই মিলে নিজেদের দিকে তাকাই। আমরা নিজ নিজ ভূমিকা পালন করতে পারছি কি না? আমরা যেটা করতে চাচ্ছিলাম, সেটা করতে পারছি কি না? না করতে পারলে কীভাবে আমরা প্রতিবাদ জানাব। কীভাবে আমাদের কথাগুলো আমরা শোনাতে পারব, সেই শোনাবার পথ আমরা বের করি। পথ আমাদের বের করতেই হবে। এটা ছাড়া কোনো উপায় নেই।

e: 2024-04-03

By admin

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *