উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন, সংকট নজিরবিহীন : জাতিসংঘ

মাস নাগাদ উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ দেখা দেবেজরুরি হস্তক্ষেপ না করলে মে মাস নাগাদ উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে

গাজার অর্ধেক বাসিন্দাই ভয়াবহ ক্ষুধায় জর্জরিত। জরুরি হস্তক্ষেপ না করলে মে মাস নাগাদ উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে।
সোমবার এ বিষয়ে  হুঁশিয়ার করেছে জাতিসংঘ সমর্থিত খাদ্য নিরাপত্তা মূল্যায়ন বিষয়ক আইপিসি।
জাতিসংঘের  বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির প্রধান কিন্ডি ম্যাককেইন বলেছেন, এ মুহূর্তে গাজায় লোকজন অনাহারে মারা যাচ্ছে। গাজায় ক্ষুধা ও অপুষ্টির সংকট ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। 

দ্য ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেইজ ক্লাসিফিকেশনের (আইপিসি) হিসেবে গাজার মোট জনসংখ্যার অর্ধেক ১১ লাখ লোক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে।
জাতিসংঘের ফুড এন্ড এগ্রিকালচার অর্গনাইজেশনের (ফাও) ডেপুটি ডাইরেক্টর জেনারেল বেথ বেচডল বলেছেন, মোট জনসংখ্যার ৫০ শতাংশই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে রয়েছে। তারা দুর্ভিক্ষের কাছাকাছি পর্যায়ে আছে। 

পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়ঙ্কর উত্তর গাজায়। এখানে মধ্য মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনী অঞ্চলে ত্রাণের অবাধ প্রবেশের সুযোগ দিতে ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সময় নষ্ট করার মতো সময় নেই। 

গ্রিফিথস আরও বলেছেন, দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধের ব্যর্থতার জন্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের লজ্জায় মাথা নত করা উচিত।
উল্লেখ্য, গতবছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাস ইসরাইলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালায়। এর প্রতিশোধ হিসেবে ইসরাইল গাজায় ভয়াবহ অভিযান শুরু করে এবং তা অব্যাহত রেখেছে।
গত পাঁচমাস ধরে চলা এ হামলায় গাজার পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। প্রয়োজনীয় ত্রাণ সরবরাহ করাও সম্ভব হচ্ছে না।

By admin

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *