বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার কঠোর অবস্থানে, সিন্ডিকেট ভাঙবেই: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের

বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে, সিন্ডিকেট ভাঙবেই বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।

আওয়ামী লীগ টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকেও সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি, তাহলে কি সিন্ডিকেটের কাছে সরকার জিম্মি? এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ব্যর্থও না, জিম্মিও না। দেশটা অনেকের চেয়ে ভালো চলছে। তবে সারাবিশ্বেই টালমাটাল অবস্থা। বাংলাদেশ কোনো বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয় যেখানে আমরা আপনাদের খুব সুখে শান্তিতে রাখতে পারব। অন্যেরা ভালো নেই, আমরাও ভালো নেই। সবাই একযোগে ভালো থাকার চেষ্টা আন্তর্জাতিকভাবেও চলছে।

পরিবহনের চাঁদাবাজির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, পরিবহনের চাঁদাবাজি সারা জনম ধরে চলে আসছে। এটা নতুন নয়। তবে এ চাঁদাবাজিটা বন্ধ করার জন্য চেষ্টা চলছে। আইন প্রয়োগকারী লোকজনও তৎপর। প্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সবাই কাজ করে যাচ্ছে। যাতে করে এ চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। একেবারে বন্ধ করা যাবে এ কথা আমি বলব না। এই কালচারটা হাঠাৎ করে বন্ধ করা যাবে না। নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

সরকার পরিবর্তন চাইলে বিএনপিকে আরেকটি নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে বলেও জানিয়ে কাদের বলেন, সরকার পরিবর্তনের দিবা স্বপ্নে নিয়মিত অবাস্তব কথার বুলি উড়ায় বিএনপি।

ড. ইউনুসকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে একজন কংগ্রেসম্যান যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছেন, সে বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্টের সম্পর্ক আরও নিবিঢ় করার চেষ্টা চলছে। ড. ইউনুসকে হয়রানি করা হচ্ছে এ মর্মে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেসম্যান। বলা হচ্ছে তার এমন মন্তব্য সম্পর্কে প্রভাব পড়বে, কেন প্রভাব পড়বে? আমার দেশের আইন, আমার দেশের বিচার ব্যবস্থায় কোনো ব্যক্তি যদি তার কৃত কর্মের জন্য শাস্তির মুখোমুখি হয়, বিচারের মুখোমুখি হয় সে অবস্থায় আমার দেশের বিচার ব্যবস্থার যে স্বাধীনতা সে স্বাধীনতার উপর বাইরের কারো তো কোন কিছু বলার অধিকার থাকতে পারে না।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

By admin

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *