খেজুর ও চিনির দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়খেজুর ও চিনির দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

রোজার শুরুতেই সাধারণ খেজুর ও চিনির দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এতে অতি সাধারণ বা নিম্নমানের খেজুরের কেজি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা। এছাড়া বাজারে খোলা চিনির সর্বোচ্চ মূল্য ১৪০ টাকার বেশি হবে না। প্যাকেটজাত চিনির দামও ১৪৫ থেকে ১৪৬ টাকার বেশি হবে না।

সোমবার (১১ মার্চ) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ফুয়ারা খাতুনের সই করা এক সার্কুলারে এসব তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, নিম্নমানের খেজুরের দাম ধরা হয়েছে কেজিতে ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা। আর বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুরের কেজি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা।

পাশাপাশি প্রতি কেজি চিনির মূল্য ১৪০ টাকা ঠিক করা হয়েছে। তাছাড়া প্যাকেটজাত চিনির সর্বোচ্চ দর ধার্য করা হয়েছে ১৪৫ টাকা। এসব দামে খেজুর ও চিনি বিক্রি করতে ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে নিম্নমানের খেজুরের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে দামি খেজুরের দাম ঠিক করে দেয়া হয়নি।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, রমজানে চিনির দাম বাড়ার কোনো সুযোগ নেই। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দেশে যথেষ্ট মজুত রয়েছে। সেক্ষেত্রে বাজারে খোলা চিনির সর্বোচ্চ মূল্য ১৪০ টাকার বেশি হবে না। প্যাকেটজাত চিনির দামও ১৪৫ থেকে ১৪৬ টাকার বেশি হবে না।

তিনি আরও জানান, ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির প্রক্রিয়া চলছে। আশা করি, শিগগিরই তা দেশে আসবে। এতে মসলাজাতীয় পণ্যটির দরও কমে যাবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার নিত্যপণ্যের দাম কমানোর চেষ্টায় করছে। বাজারে কোনো পণ্যের স্বল্পতা নেই। চালের দরম নিয়েও অস্বস্তি নেই। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে মনিটরিং হচ্ছে।

By admin

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *