পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ১৫বছর; শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা

pil-khanaআমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়াও করিতে পারিনি চিৎকার

নিউজ ডেস্কঃ ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তৎকালিন বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহের নামে জাওয়ানদের নৃশংস হত্যাকান্ডের শিকার হন ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন।
রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। আজ রোববার সকাল ৯টা ৮ মিনিটে বনানীর সামরিক কবরস্থানে শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শাহাদত বরণকারী সেনা কর্মকর্তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
বনানীর সামরিক কবরস্থানে শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শাহাদত বরণকারী সেনা কর্মকর্তাদের স্মৃতির প্রতি প্রথমে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতির পক্ষে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, এরপর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ। এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পর সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান ও  বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিন বাহিনীর প্রধানদের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের পক্ষে জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর শহীদ পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়রা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে এ সময় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং কর্মরত সামরিক সদস্যগণ স্যালুট প্রদান করেন। পরে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এ সময় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা, জেসিও এবং অন্যান্য পদবির সেনাসদস্যরা, শহীদ পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়রা  উপস্থিত ছিলেন।

By admin

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *