আজ এটিএম শামসুজ্জামানের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী

এটিএম শামসুজ্জামানবর্ষীয়ান জনপ্রিয় অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান

ছোট-বড় সব পর্দার বর্ষীয়ান জনপ্রিয় অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানকে হারানোর তিন বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সূত্রাপুরের নিজ বাসভবনে মারা যান তিনি।

এই গুণী অভিনেতাকে হারানোর ক্ষতি পূরণ হবার নয় বলে মনে করেন সিনেমাপ্রেমীরা।

অভিনয়ে তিনি একাধিক প্রজন্মের আদর্শ, অনুপ্রেরণার উদাহরণ। অভিনয় দিয়ে তিনি কখনও হাসিয়েছেন, কখনও কাঁদিয়েছেন, আবার কখনও ভয় ধরিয়েছেন দর্শকের মনে।
১৯৬১ সালে উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। প্রথম চিত্রনাট্যকার হিসেবে তিনি কাজ করেছেন ‘জলছবি’ সিনেমায়। শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনী লিখেছেন বর্ষীয়ান এ অভিনেতা। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-জলছবি, জীবন তৃষ্ণা, স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা, যে আগুনে পুড়ি, মাটির ঘর, মাটির কসম, চিৎকার ও লাল কাজল ইত্যাদি।

প্রথম দিকে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন তিনি। অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র পর্দায় আগমন ১৯৬৫ সালের দিকে। ১৯৭৬ সালে আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ সিনেমায় খলনায়ক হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে। সিনেমার পাশাপাশি অসংখ্য খণ্ড নাটক ও ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন তিনি।

একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য এ অভিনেতার একমাত্র পরিচালিত সিনেমা ‘এবাদত’। পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এ কিংবদন্তী। কাজী হায়াতের ‘দায়ী কে’ সিনেমার জন্য দুটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পান তিনি। এরপর ‘চুড়িওয়ালা’, ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’ এবং ‘চোরাবালি’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন এটিএম শামসুজ্জামান।

দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত কারণে অভিনয় থেকে দূরে থাকলেও মাঝেমধ্যেই শখের বশে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেছে তাকে। জীবিত অবস্থায় তার অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত সর্বশেষ ছবি নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর ‘আলফা’। যা ২০১৯ সালের ২৬ এপ্রিল দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়।

By admin

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *