বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

১০৯ দিন কারাভোগের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ১০৫ ‍দিন পর স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী মুক্ত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে
তারা কারামুক্ত হন।
গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।

তিনি বলেন, গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের পর তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১১টি মামলা দায়ের করা হয়। সব মামলায় আদালত থেকে তিনি জামিন পান। কারাগারে জামিননামা পৌঁছানোর পর আজ বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে তিনি কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন।
অপরদিকে একই সাথে মুক্তি মিলেছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর।

কারাগারে জামিননামা পৌঁছানোর পর আজ বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে তিনি কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন।
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগেই কাকরাইলে দুপুর থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষ পরে বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বিকেল তিনটার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। এই সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত হন। আহত হন পুলিশের ৪১ ও আনসারের ২৫ সদস্য। এছাড়া কমপক্ষে ২০ জন সাংবাদিক আহত হন।

এই ঘটনার পর গত ২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুলের গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এরপর তাকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় আদালতে হাজির করা হলে আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এবং ২ নভেম্বর দিবাগত রাত ১টার দিকে গুলশানের একটি বাসা থেকে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আটক করে ডিবি। পরদিন ৩ নভেম্বর সমাবেশ চলাকালীন সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলায় তার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ৯ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

By admin

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *