তথ্য প্রমাণ নষ্ট করে বেকায়দায় জ্যাকলিন

বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ

শ্রীলংকান বংশোদ্ভুত বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ আর্থিক প্রতারণার মামলায় ভালো ভাবেই ফেঁসে যাচ্ছেন। তার সঙ্গে কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরের প্রেমের গল্প কম বেশি প্রায় সবারই জানা। ২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপে অভিযুক্ত সুকেশ এখন দিল্লির মাণ্ডোলি জেলে বন্দি রয়েছেন। আর অভিনেত্রী জ্যাকলিনের নামে চলছে মামলা। তার বিরুদ্ধে জারি রয়েছে লুকআউট নোটিশও। এর মধ্যেই দিল্লি হাইকোর্টে মামলা সংক্রান্ত ব্যাখ্যা ও প্রমাণাদি দাখিল করেছে তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

ভারতীয় গণমাধ্যম থেকে জানা গেছে, আদালতকে ইডি জানিয়েছে, ২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের মামলায় অভিযুক্ত বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন। সুকেশের সঙ্গে জেনেশুনে তিনি প্রতারণায় সামিল হয়েছেন ও করেছেন। ইডি আরও জানিয়েছে, জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ কখনোই সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে হওয়া আর্থিক লেনদেনের সত্যতা প্রকাশ করেননি। সব সময় তিনি তথ্য গোপন করেছেন। আজ পর্যন্ত সত্যকে সামনে আসতে দেননি অভিযুক্ত জ্যাকলিন। এটিও একটি সত্য যে, তিনি সুকেশ চন্দ্রশেখরকে গ্রেপ্তার করার পরে নিজের মোবাইল থেকে সম্পূর্ণ ডেটা মুছে ফেলেছিলেন। এটা প্রমাণ নষ্ট করা। আর তিনিই তার সহকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রমাণ নষ্ট করার।

ভারতীয় গণমাধ্যম থেকে আরও জানা গেছে, ঘটনার দিন আদালতে গিয়েছিলেন জ্যাকলিন। সুকেশের সঙ্গে তাকে জড়িয়ে জারি হওয়া এফআইআরটি বাতিলের দাবি জানান তিনি। মামলাটি বিচারপতি মনোজ কুমার ওহরির সামনে ওঠেছিল। আপাতত অভিনেত্রীর আইনজীবী ইডির হলফনামার জবাব দেওয়ার জন্য সময় চেয়েছেন। ইডির হলফনামার জবাব দেওয়ার জন্য জ্যাকলিনকে সময় দিয়েছেন আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি রাখা হয়েছে ১৫ এপ্রিল।

হলফনামায় ইডি জানিয়েছে, অভিনেত্রী জ্যাকলিন সুকেশের কাছ থেকে ৫ কোটি ৭১ লক্ষ ১১ হাজার ৯৪২ টাকার শুধু উপহারই নিয়েছেন। এর সঙ্গে দুটি বিদেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, যা তার ভাই ও বোনের, সেখানেও ১ লাখ ৭২ হাজার ৯১৩ আমেরিকান ডলার ও ২৬ হাজার ৭৪০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার স্থানান্তর করার জন্য অনুরোধ করেছিল। ইডি আরও জানিয়েছে,জ্যাকলিন ইচ্ছাকৃতভাবে তার বক্তব্য রেকর্ড করার সময় নিজে থেকে ভুল তথ্য পেশ করে আসছিলেন। এটা তদন্তকে বিভ্রান্ত করার জন্যে করেছেন তিনি। আর তিনি যে, প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের প্রকৃত নাম জানেন – এটা অস্বীকার করেছিলেন। পরবর্তীতে প্রমাণিত হয় যে জ্যাকলিন মিথ্যা বলছেন।

উল্লেখ্য, একসময় সুকেশ চন্দ্রশেখর ও জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন মাধ্যমে। জানা গেছে, প্রেমিকাকে দামি দামি উপহারও দিয়েছেন। তারপরই ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় নাম জড়ায় সুকেশের। গেলো দু’বছর ধরে জেলবন্দি তিনি। তবে জেলে থেকেই বিভিন্ন সময় জ্যাকুলিনের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন।

By admin

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *