মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীমেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নে আধুনিক স্যানিটারি ল্যান্ডফিল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার ‘দ্য কোরিয়া এনভারনমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড টেকনোলজি ইনিস্টিটিউট’ (কেইআইটিআই)।
সোমবার নগরীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটি নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উপর প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাইকরণ প্রতিবেদন উপস্থাপন করে প্রতিষ্ঠানটি। 
এসময় প্রতিষ্ঠানটি জানায়, বর্তমানে চসিক আনন্দবাজার ও আরেফিননগরে দুটি ল্যান্ডফিল্ডে শহরের বর্জ্যগুলো যেভাবে রাখছে তা পরিবেশ ও আর্থিক দিক থেকে ক্ষতিকর। এজন্য চসিকের উচিৎ দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিশ্বের আধুনিক দেশগুলোর মতো আধুনিক স্যানিটারি ল্যান্ডফিল্ড গড়ে তোলা। এধরনের আধুনিক ল্যান্ডফিল্ডে বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করা সম্ভব এবং বর্জ্যকে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিবেশ সুরক্ষা সম্ভব। 
প্রতিষ্ঠানটি পুরো নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উপর একটি সার্বিক কৌশল তুলে ধরে যাতে বর্তমানে সব ধরনের বর্জ্য একসাথে সংগ্রহ করার পরিবর্তে এমআরএফ (ম্যাটেরিয়াল রিকভারি ফ্যাসিলিটি) পদ্ধতি অনুসরণ করার প্রস্তাব দেয় যার মাধ্যমে সংগৃহীত প্লাস্টিক, পিচবোর্ড, কাগজ (সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন, অফিসের কাগজ, মিশ্র কাগজ), কাঁচের বোতল এবং জার, অ্যালুমিনিয়াম এবং স্টিলের ক্যানসহ ধাতব পাত্র মেশিনের মাধ্যমে পৃথক করা হবে। এছাড়া, ফুড ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব দেয়া হয়। পুরো প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ কোটি ৪২ লাখ ৫৮ হাজার ডলার যার মধ্যে ১ কোটি ২৯ লাখ ৭৪ হাজার ডলার অনুদান এবং ১২ কোটি ১২ লাখ ৮৪ হাজার ডলার ঋণ দশমিক ১ শতাংশ (.১%)সুদ হারে পাবে চসিক। 
এছাড়া, জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধির জন্য প্রচারণা এবং পরিচ্ছন্নকর্মীদের বিভিন্ন পর্যায়ে প্রশিক্ষণ, সচেতনভাবে বর্জ্য সংগ্রহ করা, ডোর টু ডোর সংগ্রহের জন্য আধুনিক উপকরণ সরবরাহের পাশাপাশি বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট প্রতিষ্ঠার পরামর্শ দেয় প্রতিষ্ঠানটি। 
সভায় প্রকল্পটির বিষয়ে মতবিনিময় করেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা, তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী শাহিনুল ইসলাম, আকবর আলীসহ প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রকল্পের ম্যানেজার হং জিয়ং ওয়ান, প্রকৌশলী কো জুন হিয়ং, প্রকৌশলী গিউহা চোয়, প্রকৌশলী গোলাম সরোয়ার।

By admin

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *