প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক-২০২৪ গ্রহণ করবেন ২১ বিশিষ্টজন।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে এ পদক তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
একুশে পদক প্রদান উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার পৃথক বাণীতে মনোনীতদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষার জন্য সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকারী ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাবে জাতি। তার আগে আজ ২১ বিশিষ্টজনের হাতে একুশে পদক তুলে দেওয়া হবে।
বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পুরস্কারপ্রাপ্তদের দেওয়া টাকার পরিমাণ কয়েক গুণ বাড়ানো হয়েছে। পদকপ্রাপ্তদের ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের তৈরি ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি পদক, চার লাখ টাকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হবে।
এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলন, শিল্পকলা, ভাষা ও সাহিত্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দেশের ২১ বিশিষ্ট নাগরিককে ‘একুশে পদক-২০২৪’ দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায় সরকার।
এ বছর ভাষা আন্দোলন ক্যাটেগরিতে দুজন, শিল্পকলায় ১২ জন, সমাজসেবায় দুজন, ভাষা ও সাহিত্যে চারজন এবং শিক্ষায় একজন বিশিষ্ট নাগরিক এ সম্মাননা পাচ্ছেন।
পদকের জন্য মনোনীতরা হলেন– ভাষা আন্দোলনে মৌ. আশরাফুদ্দীন আহমদ (মরণোত্তর) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়া (মরণোত্তর)। সংগীতে জালাল উদ্দীন খাঁ (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণী ঘোষ, বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর), এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর) ও শুভ্র দেব।
এছাড়া নৃত্যকলায় শিবলী মোহাম্মদ, অভিনয়ে ডলি জহুর ও এম এ আলমগীর, আবৃত্তিতে খান মো. মুস্তফা ওয়ালীদ (শিমুল মুস্তাফা) ও রূপা চক্রবর্তী, চিত্রকলায় শাহজাহান আহমেদ বিকাশ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও আর্কাইভিংয়ে কাওসার চৌধুরী, সমাজসেবায় মো. জিয়াউল হক ও আলহাজ রফিক আহামদ, ভাষা ও সাহিত্যে মুহাম্মদ সামাদ, লুৎফর রহমান রিটন, মিনার মনসুর ও রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ (মরণোত্তর) এবং শিক্ষায় একুশে পদক পাচ্ছেন অধ্যাপক জিনবোধি ভিক্ষু।