প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা সমাজের প্রতিটি স্তরের কথা মাথায় রেখে উন্নয়ন করছি। তৃণমূলের প্রতিটি মানুষের কথা মাথায় রেখে উন্নয়ন করা হয়েছে। অনেক ঘাত প্রতিঘাত মোকাবেলা করেই আজকে আমরা দেশকে এই পর্যায়ে নিয়ে আসতে পেরেছি।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে বিশেষ বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, এবারের নির্বাচন ঠেকানোর জন্য অনেক চক্রান্ত হয়েছে। প্রভুদের নির্দেশে বিএনপি নির্বাচনটাকে বানচাল করতে চেয়েছিল। এখন তারা কিছু লম্ফ ঝম্প করছে। তবে মানুষ সতঃস্ফুর্তভাবে ভোট দিয়ে মানুষ সব চক্রান্ত ব্যর্থ করে দিয়েছে।
নির্বাচন নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলেছে তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা বা যেসব দেশ বলছে নির্বাচন অবাধ- নিরপেক্ষ-সুষ্ঠু হয়নি, তাদের সুনির্দিষ্টভাবে কি কি কারনে কোথায় সুষ্ঠু হয়নি তা দেখাতে বলেন। অনেক বড় বড় দেশেই ভোট নিয়ে বিতর্ক আছে। বিরোধীরা এখনো ফলাফল মানেনি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এরপর তিনি আরও বলেন, নির্বাচন নিয়ে অনেক চক্রান্ত ছিল। ভোট নিরপেক্ষ- অংশগ্রহণমূলক ভাবে করেছি বলেই, মুখে অনেক কথা বললেও সেংশন দিতে পারছে না। এবার সেংশন দিলে, আমরাও সেংশন দিব।
এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্র দলীয় করতে নিজেদের মধ্য দোষারোপ, মন কষাকষি হয়েছে। সেসব ভুলে যেতে হবে। নিজেদের মধ্যে যেন দ্বন্দ্ব-সংঘাত না হয়। কোন সমস্যা হলে নিজেদের মধ্যে বসে সমাধান করতে হবে। একমাত্র আওয়ামী লীগই মাটি ও মানুষের দল। আমরাই একমাত্র দেশকে এগিয়ে নিতে পারি।
চাঁদাবাজি, মজুদদারি বন্ধ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে বলেন, কৃষকের দাম পাওয়া নিশ্চিত করে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আমাদের দেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ। সম্প্রীতি নিয়ে বসবাস করতে হবে।
আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় যোগ দিতে গণভবনে প্রবেশ করছেন জেলা, উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ও সংসদ সদস্যরা।