প্রেস বিজ্ঞপ্তি: ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং বিপ্লবের তীর্থভূমি বীর চট্টগ্রামের জ্ঞান ও মননের আকাঙ্খা পূরণে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ, চট্টগ্রাম নাগরিক সমাজ, মুক্তিযোদ্ধা, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ ও সাহিত্য- সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের সৃজনশীল প্রকাশকদের অংশগ্রহণে আগামী ০৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার থেকে চট্টগ্রামের ফুসফুসখ্যাত সিআরবিতে। মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলা-২০২৪ শুরু হয়ে ২ মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত চলবে।
আজ অমর একুশে বই মেলা উদ্বোধন উপলক্ষ্যে সিআরবির শিরীষতলায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এসব কথা বলেন।
আপনারা জেনে আনন্দিত হবেন যে, চট্টগ্রাম ও ঢাকার শীর্ষস্থানীয় প্রকাশনা গুলোর অংশগ্রহণ এবং কবি-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবী, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, সংস্কৃতিকর্মীসহ নানান শ্রেণি পেশার মানুষের অংশ গ্রহণের মধ্যদিয়ে আগামী ০৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেল ৫টায় বইমেলা শুভ উদ্বোধন করা হবে।
ইতোমধ্যে মেলার সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। মেলা প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা ও ছুটির দিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
প্রতিবারের মতো এবারও মেলা প্রাঙ্গণে থাকছে দৃষ্টিনন্দন ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’, লেখক আড্ডাসহ নারী কর্ণার এবং ওয়াইফাই জোন। এছাড়াও নিরাপত্তার স্বার্থে পুরো মেলা প্রাঙ্গণ সিসিটিভি নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত থাকবে। মেলা কার্যালয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত আসন থাকবে।
মাসব্যাপী বইমেলার অনুষ্ঠানমালায় রয়েছে-ররীন্দ্র উৎসব, নজরুল উৎসব, লেখক সমাবেশ, যুব উৎসব, শিশু উৎসব, মুক্তিযুদ্ধ উৎসব, ছড়া উৎসব, কবিতা উৎসব, মাতৃভাষা দিবস ২১ ফেব্রুয়ারির আলোচনা, লোক উৎসব, তারুণ্য উৎসব, নারী উৎসব, বসন্ত উৎসব, মরমী উৎসব, আবৃত্তি উৎসব, নৃগোষ্ঠী উৎসব, পেশাজীবি সমাবেশ, কুইজ প্রতিযোগিতা, চাটগাঁ উৎসব, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী, বইমেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। মেলায় প্রতিদিনের বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় দেশের প্রথিতযশা লেখক-কবি-সাহিত্যিক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ অংশ নেবেন ।
এছাড়াও মেলা মঞ্চে প্রতিদিন শিশু কিশোরদের চিত্রাংকন, রবীন্দ্র-নজরুল-(লোক সঙ্গীত, সাধারণ নৃত্য, লোক নৃত্য, আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা, দেশের গানের আযোজন করা হবে। মেলাকে আকর্ষণীয় করার লক্ষ্যে চট্টগ্রামের লেখক, সাহিত্যিক, সংস্কৃতি কর্মী ও বইপ্রেমীদের নিয়ে বিভিন্ন উপ-পরিষদ গঠন করা হয়েছে। তাদের সহযোগিতায় প্রতিদিনের অনুষ্ঠানমালা সাজানো হয়েছে। মেলা মঞ্চে প্রতিদিন মুক্তিযুদ্ধের জাগরণী ও দেশাত্ববোধক গান পরিবেশিত হবে।
এবার মেলায় ৪৩ হাজার বর্গফুটের সুবিশাল সিআরবির শিরীষ তলার মাঠ জুড়ে মোট ১৫৫টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ডাবল স্টল ৭৮টি এবং সিঙ্গেল স্টল ৭৭টি। চট্টগ্রামের পাশাপাশি ঢাকার সৃজনশীল অভিজাত প্রকাশনী সংস্থা গুলো মেলায় অংশ নিচ্ছে এবং তাদেরকে স্টলও বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ঢাকা এবং চট্টগ্রামসহ মোট ৯২টি প্রকাশনা সংস্থা মেলায় অংশ নিচ্ছেন।
মেলার সার্বিক নিরাপত্তার জন্য বেসরকারি পেশাদার একটি নিরাপত্তা সংস্থা সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে ।
প্রতিবারের মতো এবারও মেলায় থাকছে- নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন মঞ্চ ও সেলফি কর্ণার। এছাড়াও নতুন প্রজন্মের সামনে মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্য ৫২’র ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতার আন্দোলনের উপর প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম,প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, মেলার আহ্বায়ক কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, আবদুস সালাম মাসুম, মেলার সদস্য সচিব মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, কামরুল হাসান বাদল, সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সভাপতি শাহাবুদ্দিন বাবু, সাবেক সভাপতি শাহাবুদ্দিন নিপু।