ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ যৌথ বাছাইয়ের দ্বিতীয় লেগে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ১-০ গোল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। ফিলিস্তিনের একাধিক আক্রমণে বিপরীতে বাংলাদেশও বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছিল। তবে নিখুঁত ফিনিশিংয়ের অভাবে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি স্বাগতিক দল। আর ইনজুরি টাইমের গোলে বাংলাদেশকে হতাশায় ডুবিয়েছে সফরকারীরা।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) কিংস অ্যারেনায় ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্নক ফুটবল খেলতে থাকে সফরকারীরা। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে স্বাগতিকদের ডিফেন্সকে ব্যস্ত রাখে ফিলিস্তিনের আক্রমণভাগ। তবে শুরুর দিকে খানিকটা সময় নিয়ে নিজেদের গুছিয়ে নেয় লাল-সবুজের দল।
এদিন পুরো ম্যাচজুড়ে লাল-সবুজের রক্ষণভাগকে পরীক্ষা দিতে হয়। তবে বাংলাদেশই সবচেয়ে বেশি গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল।
ম্যাচের ১২তম মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল সফরকারীরা। তবে দলকে এ যাত্রায় বাঁচিয়ে দেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক মিতুল মারমা। এরপর ম্যাচের ২১তম মিনিটে ডানপ্রান্ত দিয়ে হঠাৎ আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। তপু বর্মণের বাড়ানো পাসে বক্সে ঢুকে পড়েন ফাহিম। তবে ঠিকঠাক ক্রস নিতে না পারায় লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি তিনি।
এরপর ২৯তম মিনিটে আবারও সুযোগ হাতছাড়া করে স্বাগতিক দল। প্রতিপক্ষের কর্ণার কিক থেকে পাল্টা আক্রমণে যায় জামাল ভূঁইয়ার দল। বল নিয়ে একাই বক্সে ঢুকে পড়েন রাকিব। তবে জটলার মধ্যে আটকে পড়ে জনির ভুলে দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ।
ম্যাচের ৩৪তম মিনিটে বক্সের সামনে থেকে লক্ষ্যের দিকে শট নিয়েছিলেন ফিলিস্তিনের ওদয় দাবাগ। তবে তার কোনাকুনি শট গ্রিপ করেন মিতুল।প্রথমার্ধের শেষ দিকে সবচেয়ে বড় সুযোগ হারায় বাংলাদেশ। কর্ণার থেকে বল নিয়ে এগিয়ে যান জামাল। মাঝমাঠ থেকে তাকে অনুসরণ করে ফাহিমও বক্সে ঢুকে পড়েন। এরপর প্রতিপক্ষের দুই খেলোয়াড়ের বাধা টপকে ফয়সালকে ক্রস দেন জামাল। তবে প্রতিপক্ষের গোলকিপারকে বোকা বানাতে ব্যর্থ হন তিনি। অন্যদিকে ওয়ান টু ওয়ান সুযোগ লুফে নিতে পারেননি ফাহিমও। শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
বিরতি থেকে ফিরে বাংলাদেশের শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি। ম্যাচের ৪৮তম মিনিটে শাকিলের ব্যাকপাস থেকে বল পেয়ে যান ফিলিস্তিনের দাবাগ। তবে নিজের ভুলে ফাঁকা জালে বল জড়াতে পারেননি আগের ম্যাচের হ্যাটট্রিক ম্যান। ১০ মিনিট ব্যবধানে তার অসাধারণ হেড দুর্দান্ত নৈপুণ্যে সেভ করেন মিতুল মারমা। এরপর আলাদিনের দূরপাল্লার শটও রুখে দেন মিতুল।
ম্যাচের ৭০তম মিনিটে কয়েকটি পরিবর্তন করেন বাংলাদেশের কোচ। অধিনায়ক জামাল, ফাহিমের পরিবর্তে সোহেল রানা ও ফাহিমকে মাঠে নামান তিনি।
এরপর ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিট পর্যন্ত গোলশূন্য সমতাতেই ছিল ম্যাচ। তবে অতিরিক্ত ৮ মিনিটে পাল্টে যায় চিত্র। ইনজুরি সময়ে মনঃসংযোগের ভুলে ম্যাচ হেরে যায় বাংলাদেশ।অতিরিক্ত সময়ের শুরুতেই দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ফিলিস্তিনের আহমেদ। সেখানেই রক্ষণের ভুলে বড় ধাক্কা খায় লাল-সবুজ শিবির।
বক্সের মধ্যে আনমার্কড ছিলেন তেরমানিনি। তার কাছেই পরাস্ত হয়েছেন গোলরক্ষক মেহেদী শ্রাবণ। ম্যাচের ৮৩তম মিনিটে গোলরক্ষক মিতুল ব্যথা পেয়ে মাঠ ছাড়লে মাঠে নেমেছিলেন শ্রাবণ।