রাশিয়া রোববার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও পশ্চিমের লেভিভ অঞ্চলে আকাশপথে হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন। রুশ হামলার জেরে সীমান্তের কাছের আকাশসীমার নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিজেদের যুদ্ধবিমান সক্রিয় করেছে প্রতিবেশী পোল্যান্ডের সশস্ত্র বাহিনী।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো ম্যাসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে বলেছেন, ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা রুশ হামলা প্রতিহত করতে নামার পর রাজধানীতে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ হয়েছে।
কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান সের্হি পপকো টেলিগ্রামে বলেন, রাজধানী ও তার আশপাশে প্রায় এক ডজন রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী।প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রুশ হামলায় কোনো হতাহত বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানান পপকো।
রাশিয়া কয়েক দিন ধরেই ইউক্রেনে বিমান হামলা চালাচ্ছে। সদ্য সমাপ্ত রুশ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় রাশিয়ায় দফায় দফায় হামলা চালিয়েছিল ইউক্রেন। এর প্রতিশোধ হিসেবে এখন ইউক্রেনে হামলা চালানোর কথা বলছে মস্কো।
রুশ হামলা নিয়ে ইউক্রেনে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ব্রিজেট ব্রিঙ্ক আজ ভোরে এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট দিয়েছেন। তিনি বলেন, এই সপ্তাহে তৃতীয়বারের মতো ভোরের আলো ফোটার আগে পুরো ইউক্রেনকে বিমান হামলার সতর্কতার আওতায় রাখা হয়েছে। লোকজনকে নিরাপদে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ব্রিজেট ব্রিঙ্ক আরও বলেন, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে, লাখো বেসামরিক নাগরিকের কথা বিবেচনা না করে রাশিয়া নির্বিচারে ইউক্রেনে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে চলছে।ইউক্রেনে বিমান হামলার বিষয়ে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য জানতে চেয়ে অনুরোধ জানিয়েছিল রয়টার্স। তবে তারা এই অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।ইউক্রেনের পশ্চিমের লেভিভ অঞ্চলে আজ বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের গণমাধ্যমের তথ্যমতে, রাশিয়ার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো পোল্যান্ডের সীমান্তের কাছাকাছি দিয়ে উড়ে আসছিল।
পোল্যান্ডের সশস্ত্র বাহিনী এক্সে বলেছে, পোলিশ ও তার মিত্রদের যুদ্ধবিমানগুলো সক্রিয় করা হয়েছে। এর ফলে শব্দের মাত্রা বাড়তে পারে, বিশেষ করে দেশটির দক্ষিণ-পূর্ব অংশে।লেভিভের মেয়র আন্দ্রি সাদোভি টেলিগ্রামে বলেছেন, শহরে কোনো হামলা হয়নি। তবে বিস্তৃত লেভিভ অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো লক্ষ্যবস্তু করে প্রায় ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ৭টি ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে।