গাজীপুরে আগুনের ঘটনায় নিহত বেড়ে ১৩

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটেশেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে

গাজীপুর কালিয়াকৈর এলাকায় গ্যাসের আগুনে দগ্ধ মশিউর রহমান (২২) নামে আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ১৩ জনে।


মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে তিনি মারা যান বলেন জানিয়েছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের কর্তব্যরত চিকিৎসক। মশিউরের শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ ছিলো।


মশিউরের বাড়ি লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার পারুলিয়া গ্রামে। তিনি এটিএস অ্যাপারেলস গার্মেন্টেস এর কর্মী ছিলেন। ঘটনার দিন তিনি কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরছিলেন।


এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ ইয়াসিন আরাফাত (২১) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়।
কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, ইয়াসিনের শরীরের ৬২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। 


নিহত ইয়াসিনের মামা মো. লিটন জানান, কুষ্টিয়ার খোকসা থানার গবুগ্রাম এলাকার মো.আল আমিনের ছেলে ইয়াসিন। তিনি বাবা-মা, বোনসহ পরিবার নিয়ে কালিয়াকৈরে টপস্টার এলাকায় থাকতেন। পেশায় গার্মেন্টস কর্মী ছিলেন ইয়াসিন। ২৪ দিন বয়সী তার একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।


গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিচালা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজের আগুন থেকে দগ্ধ হয়ে নারী-শিশুসহ ৩৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হন।


এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, তেলিরচালা টপস্টার কারখানার পাশে শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী শ্রমিক কলোনি তৈরি করে ভাড়া দিয়েছেন। তার বাড়িতে থাকা সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হয়ে গেলে পাশের দোকান থেকে নতুন গ্যাস সিলিন্ডার কিনে নিয়ে আসা হয়। বাড়িতে সেটি লাগানোর সময় সিলিন্ডারের চাবি খুলে গিয়ে পাশের চুলা থেকে আগুন ধরে যায়। তখন তিনি গ্যাস সিলিন্ডারটি ছুড়ে মারেন বাইরে। এ সময়ে বিস্ফোরণে আশপাশে থাকা শিশু, নারী ও পথচারীর শরীরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ৩৪ জন দগ্ধ হন।


পরে দগ্ধদের উদ্ধার করে কোনাবাড়ী এলাকার কয়েকটি হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। পরে তাদের ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।

By admin

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *