`হয়নি যাবার বেলা’ গানটির জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী খালিদ হঠাৎ করেই চলে গেলেন না ফেরার দেশে (ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার রাতে রাজধানীর কমফোর্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। কমফোর্ট হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান খালিদ। তার হার্টে রিং পরানো ছিল।
সোমবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই না ফেরার দেশে চলে যান তিনি। তার মৃত্যুর খবরে সংগীতাঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া
খালিদ গান গাওয়া শুরু করেন গত শতকের আটের দশকের শুরুতে। পুরোপুরিভাবে শুরু হয় ৮৩ সালে ‘চাইম’ ব্যান্ডের সঙ্গে। তাকে বলা হতো নব্বইয়ের দশক বা তারপর পর্যন্ত মিক্স মাস্টার।
দীর্ঘ সময়ের মিউজিক ক্যারিয়ারে খুব বেশি গান করেননি এই শিল্পী। অন্য শিল্পীদের তুলনায় কম গান করলেও খালিদের গাওয়া প্রতিটি গানই পেয়েছে জনপ্রিয়তা। অনেকদিন ধরে আড়ালে ছিলেন এই গায়ক। তার পরিবার বর্তমানে নিউইয়র্কে বসবাস করছে। মাঝেমধ্যে খালিদ দেশে আসতেন। এ যাত্রায় এসে আর পরিবারের কাছে ফেরা হলো না তার।
উল্লেখ্য, বাংলা ব্যান্ড সংগীতের স্বর্ণযুগের উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম খালিদ, যিনি চাইমের খালিদ নামে পরিচিত। ১৯৮৭ সালে সারগাম থেকে প্রকাশিত ‘চাইম’ এর প্রথম অ্যালবাম (সেলফ টাইটেলড) দিয়ে যাত্রা শুরু তার। চাইমের ব্যান্ড অ্যালবামের চেয়ে খালিদ জনপ্রিয় হয়ে যান ব্যান্ড মিক্সড অ্যালবাম দিয়ে। মূলত খালিদ তার জনপ্রিয়তা ধরে রাখেন ব্যান্ড মিক্সড অ্যালবাম দিয়ে। বাংলা ব্যান্ড সংগীতের আরেক তারকা প্রিন্স মাহমুদের ব্যান্ড মিক্সড অ্যালবামগুলোতে খালিদ তার গান দিয়ে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন। প্রিন্স মাহমুদের অ্যালবামগুলোর মধ্যে খালিদের গাওয়া ‘কিভাবে কাঁদাবে’, ‘আবার দেখা হবে’, ‘নীরা’, ‘আকাশনীলা’, ‘কোন কারণেই’, ‘হয়নি যাবার বেলা’ শ্রোতা মহলে ব্যাপক জনপ্রযোগ দেন।