মালয়েশিয়ায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক বাংলাদেশিসহ তিনজন নিহত হয়েছে, যাদেরকে দেশটির সেন্ট্রো গ্যাংয়ের সদস্য বলছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, সম্প্রতি সোনার দোকানে ডাকাতি, ছিনতাই ও ভাংচুরে সঙ্গে এই সেন্ট্রো গ্যাং সদস্যরা জড়িত। গত সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পেকান-কুয়ান্তান বাইপাসে এ বন্দুকযুদ্ধ হয়।
নিহত একজন বাংলাদেশি এবং দুইজনের বাড়ি ইন্দোনেশিয়া। তাদের বয়স ৩৬, ৪৪ ও ৩৮ বছর। একটি প্রাইভেটকারের মধ্য থেকেই এই তিনজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে ওই ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন পুলিশ। পাহাং পুলিশ প্রধান দাতুক সেরি ইয়াহিয়া ওথমান বলেন, নিহতদের ব্যবহার করা একটি প্রোটন ওয়াজা গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।
এছাড়া সাত রাউন্ড গুলিসহ একটি গ্লক-১৭ টাইপ পিস্তল এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত দুটি ম্যাচেট ব্লেডসহ আরো কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করা করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বন্ধুকযুদ্ধের বর্ণনা দিয়ে পাহাং পুলিশ প্রধান বলেন, গাড়ির আরোহীদের অনুসরণ করছিলো পুলিশের একটি গোপন দল। পেকানে পাহাং রাজ্য উন্নয়ন বোর্ড এলাকায় তাদেরকে সন্দেহজনক আচরণ করতে দেখা যায়।
তিনি বলেন, পুলিশ গাড়ি থামানোর নির্দেশ দিলেও চালক দ্রুত গতিতে বাইপাসের দিকে চলে যায়। এরপর পুলিশ তাদের ধাওয়া দিলে তারা গাড়ির গতি প্রচণ্ড বাড়িয়ে দেয় এবং পুলিশের টহল গাড়ির পিছনে ধাক্কা দেয়। গাড়ির ভেতর থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে চালানো হয়।
রমজানের শুরুতেও তীব্র মানবিক সংকটে গাজারমজানের শুরুতেও তীব্র মানবিক সংকটে গাজা
আর পুলিশ আত্মরক্ষার জন্য পালটা গুলি চালালে হতাহতের এ ঘটনা বলে জানান পাহাং পুলিশ প্রধান দাতুক সেরি। বলেন, পেকান এলাকায় আবারো কোনো অপরাধের পরিকল্পনা করেছিলো সন্ত্রাসীরা।
পুলিশ বলছে, সেন্ট্রো গ্যাংয়ের সদস্যরা গত বছরের জুন থেকে সেলাঙ্গর, নেগেরি সেম্বিলান, পেরাক এবং পাহাংয়ের বেশ কয়েকটি সোনার দোকানে চুরি ডাকাতি করেছে। এছাড়া তারা মানুষের ওপর ও ছিনতাইয়েও জড়িত।