খুলনা টাইগার্সের চেয়ে রান রেটে অনেকটা এগিয়ে থাকায় ফরচুন বরিশালের প্লে অফ প্রায় নিশ্চিতই ছিল। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল তাদের জন্য কেবলই আনুষ্ঠানিকতার। কারণ হারলেও খুব বিপাকে পড়তে হতো না তাদের। যদিও কোনো সমীকরণে না গিয়ে কুমিল্লাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে সেরা চারে জায়গা করে নিয়েছে বরিশাল। তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণির পর তামিম ইকবালের হাফ সেঞ্চুরিতে প্লে অফে নিশ্চিত করেছে তারা। এলিমিনেটরে তাদের প্রতিপক্ষ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
এর মধ্য দিয়ে কাগজে-কলমে আশা টিকে থাকা খুলনা টাইগার্সের এক ম্যাচ হাতে রেখেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। আজ দিনের পরের ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে খুলনার ম্যাচটি তাই কার্যত নিয়মরক্ষায় রূপ নিলো।
জয়ের জন্য ১৪১ রান তাড়ায় খানিকটা সাবধানী শুরু করার চেষ্টা করেন আহমেদ শেহজাদ ও তামিম। যদিও ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারাতে হয় তাদের। এনামুল হকের টার্ন না করা ডেলিভারিতে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে বলের লাইন মিস করেন শেহজাদ। দক্ষতার সঙ্গে গ্লাভস বন্দি করে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন স্টাম্প ভেঙে দিলে ১ রানে ফিরতে হয় পাকিস্তানের এই ব্যাটারকে।
তিনে নেমে অবশ্য তামিমের সঙ্গে দারুণ জুটি গড়ে তোলেন কাইল মেয়ার্স। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৬৪ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মেয়ার্সকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মুশফিক হাসান। ডানহাতি এই পেসারের ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে মুশফিকের হাতেই ক্যাচ দিয়েছেন মেয়ার্স। দারুণ ছন্দে থাকা এই ব্যাটার ফিরেছেন ২৫ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলে। মেয়ার্স ফিরলেও একপ্রান্ত আগলে রাখেন তামিম। সাবধানী ব্যাটিংয়ে পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরির দেখাও। ম্যাথু ফোর্ডের অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরের বলে কাট করে ছক্কা মেরে ৪০ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন বরিশালের অধিনায়ক। এদিকে একটু পর আউট হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। পেসার মুশফিকের চতুর্থ স্টাম্পের ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে টপ এজ হয়ে অঙ্কনের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়েছেন।
মুশফিকের ব্যাট থেকে এসেছে ১৭ রান। হাফ সেঞ্চুরির পর চড়াও হতে যান তামিম। আন্দ্রে রাসেলকে পরপর দুই বলে দুই ছক্কা মারতে গিয়ে লং অনে থাকা তাওহীদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। বরিশালের অধিনায়ক ফিরে যান ৪৮ বলে ৬৬ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে। এরপর বরিশালের জয় নিশ্চিত করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং সৌম্য সরকার।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে কুমিল্লা। মাঝে হৃদয় ও মঈন আলী চেষ্টা করলেও দলের রান বড় করতে পারেননি। শেষদিকে জাকের আলী অনিকের ১৬ বলে অপরাজিত ৩৮ রানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৪০ রানের পুঁজি পায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। কুমিল্লার হয়ে এ ছাড়া হৃদয় ২৫ এবং মঈন ২৩ রান করেছেন। বরিশালের হয়ে তাইজুল ইসলাম তিনটি উইকেট নিয়েছেন।