পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের দুই দিন পর ১৪ মামলায় জামিন পেয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান। তার দলের সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি আসনে এগিয়ে থাকার সময়ে এমন রায় দিল দেশটির আদালত।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এমনকি নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞার কারণে তার দল পিটিআই নিজস্ব ‘ব্যাট’ প্রতীকেও নির্বাচন করতে পারেনি। এরপর পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে বিভিন্ন প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে।
শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ২৫০ আসনের প্রাথমিক ফলাফলে ইমরানের দল পিটিআই–সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হয়েছেন। আসনসংখ্যায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পিএমএলএন। তৃতীয় স্থানে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপিপি।
পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ঘোষিত ২৫০ আসনের ফলাফলে সবচেয়ে বেশি ৯৯ আসনে জয় পেয়েছেন পিটিআই স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এর বাইরেও আরও কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। ভোট শেষ হওয়ার ৪০ ঘণ্টা পরও নির্বাচনের পূর্ণ ফলাফল এখনও ঘোষণা হয়নি। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১৫টি আসনের ফল ঘোষণা বাকি ছিল।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবরে বলা হয়েছে, নির্বাচনের ফলাফলের পূর্ণ ঘোষণার আগেই শনিবার স্বস্তির খবর পেলেন ইমরান খান। এদিন ১৪টি মামলায় জামিন পেয়েছেন তিনি। ইসলামাবাদের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আদালতের বিচারক মালিক ইজাজ আসিফ এক শুনানি শেষে এই রায় দেন। ইমরান খানের পাশাপাশি তার রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) জ্যেষ্ঠ নেতা শাহ মেহমুদ কুরেশিকেও ১৩ মামলায় জামিন দেওয়া হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, যেসব মামলায় ইমরান ও কুরেশি জামিন পেয়েছেন— সবগুলোই গত ৯ মে দাঙ্গার সঙ্গে সম্পর্কিত। ইসলামাবাদ হাই কোর্টে হাজিরা দিতে গিয়ে গত ৯ মে আদালত চত্বরে গ্রেফতার হন ইমরান খান। এরপর তার সমর্থকরা বিক্ষোভ শুরু করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে দাঙ্গার সৃষ্টি হয়।