পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। তবে অনানুষ্ঠানিক ফলাফল শুক্রবার পর্যন্তও স্পষ্ট হয়নি। নানা নাটকীয়তার মধ্যে নির্বাচনের ফলাফলে এগিয়ে রয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তারা মূলত ইমরান খানের দল পিটিআই এর নেতা। পাকিস্তানের নির্বাচনের দিকে নজর রেখেছে গোটা বিশ্ব। এবার এ নিয়ে মুখ খুলেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনীর।
পাকিস্তানে রাজনীতি ও সরকারের নিয়ন্ত্রণ সেনাবাহিনীর হাতে বলে মনে করা হয়। নির্বাচনের আগে বিশ্লেষকরা বলেছিলেন যে, সেনাবাহিনী নওয়াজ শরিফকে ক্ষমতায় বসানোর সব ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু নির্বাচনে ভোটাররা চমকে দিয়েছে।
এখনও কারা কীভাবে সরকার গঠন করবে সে বিষয়টি পরিষ্কার নয়। এমন অবস্থায় একটি বিবৃতি দিয়েছেন জেনারেল আসিম মুনির। তিনি বলেন, পাকিস্তানকে নির্বাচন-পরবর্তী ‘নৈরাজ্য ও মেরুকরণ’ থেকে সরে আসতে হবে। খবর আল আরাবিয়্যার
শনিবার এক সামরিক বিবৃতিতে আসিম মুনির বলেন, সাধারণ নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফলের সাথে সাথে পাকিস্তানকে নৈরাজ্য ও মেরুকরণের রাজনীতি বাদ দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
আসিম মুনির বলেন, জাতির নৈরাজ্য ও মেরুকরণের রাজনীতি থেকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য স্থিতিশীল হাত এবং একটি নিরাময় স্পর্শ প্রয়োজন।
জানা গেছে, পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের মোট আসনসংখ্যা ৩৩৬টি। এর মধ্যে ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। ৭০টি আসন সংরক্ষিত। এসব আসনের মধ্যে ৬০টি নারীদের ও ১০টি সংখ্যালঘুদের। ২৬৬ আসনের একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী গুলিতে নিহত হওয়ায় সেখানে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। ভোটগ্রহণ হয়েছে ২৬৫ আসনে।
দেশটির মসনদে কারা বসছেন সেটি এখনও পরিষ্কার হয়নি। ইমরান খানের দল সরকার গঠন করতে চাইলে কারও সঙ্গে জোট করতে হবে। সেটি কীভাবে হবে এবং শেষ পর্যন্ত কাদের হাতে ক্ষমতা আসবে সেটি জানতে অপেক্ষা করতে হবে।
সমর্থকদের উদ্দেশে এআই দিয়ে তৈরি বার্তায় ইমরান খান বলেন, বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে পিটিআই সমর্থকদের ব্যাপক জনসমর্থন দেখে সবাই হতবাক হয়েছে। নওয়াজ শরিফ ‘ছোটলোক’। কোনো পাকিস্তানি তাকে গ্রহণ করবে না।