পাকিস্তানে নানা অনিশ্চয়তার মধ্যেই চলছে জাতীয় নির্বাচন

নানা অনিশ্চয়তা ও নিরাপত্তা শঙ্কা কাটিয়ে পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছেনানা অনিশ্চয়তা ও নিরাপত্তা শঙ্কা কাটিয়ে পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে

নানা অনিশ্চয়তা ও নিরাপত্তা শঙ্কা কাটিয়ে পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে বৃহস্পতিবার। নির্বাচনে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই নেতা ইমরান খানের অনুপস্থিতি। একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ইমরান কারাগারে বন্দী।

স্থানীয় সময় সকাল ৮টা (বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা) থেকে শুরু হওয়া ভোট চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

এরইমধ্যে নির্বাচন ঘিরে সহিংসতা ছড়িয়েছে পাকিস্তানের কিছু এলাকায়। বুধবার পৃথক বোমা ও গ্রেনেড হামলায় অন্তত ২৮ জন নিহতের সংবাদ পাওয়া গেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচনে জাতীয় পরিষদের মোট আসন ৩৪২টি। এর মধ্যে ২৭২ আসনে সরাসরি ভোট হচ্ছে। বাকি আসনগুলো নারী ও সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত।

সরকার গঠন করতে কোনও দল বা জোটকে কমপক্ষে ১৬৯টি আসনে জয় নিশ্চিত করতে হবে। এবারের নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দেশটির তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান মুসলিম লীগ পার্টির নেতা নওয়াজ শরীফ এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টির বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি। প্রথাগত প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও অতীতে ইমরান খানের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়েছেন তারা। শেহবাজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন গত আগস্ট পর্যন্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ভুট্টো-জারদারি।

February

ইমরান খান আইনি জটিলতার কারণে অংশ নিতে না পারলেও নির্বাচনের তার দলের প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে পাকিস্তান জুড়ে ভোট কেন্দ্রে কয়েক হাজার পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন বৃহস্পতিবারপাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের এবারের নির্বাচনে প্রায় ১২ কোটি ৮০ লাখ ভোটার তাদের ভোট দেওয়ার জন্য নিবন্ধিত হয়েছেন। যার প্রায় অর্ধেক ৩৫ বছরের কম বয়সী। তারা ৫ হাজারেরও বেশি প্রার্থীর মধ্য থেকে নতুন আইনপ্রণেতা নির্বাচন করবে। এসব প্রার্থীদের মধ্যে মাত্র ৩১২ জন নারী।

নির্বাচনের আগে পাকিস্তানে দফায় দফায় বিস্ফোরণ, নিহত ২৬নির্বাচনের আগে পাকিস্তানে দফায় দফায় বিস্ফোরণ, নিহত ২৬ নির্বাচনের পর ফলাফল দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে।

পাকিস্তানের ৭৫ বছরের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত কোনো প্রধানমন্ত্রীই তাঁদের পাঁচ বছরের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারেননি। তার আগেই ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়েছে তাদের।

By admin

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *