দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও বিরোধী দলের দায়িত্ব গ্রহণে জাতীয় পার্টি অন্যের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বলে ওঠা অভিযোগ আংশিক সত্য বলে মন্তব্য করেছেন দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
তিনি বলেন, “জাতীয় পার্টি সম্পর্কে অনেকে অনেক কথা বলেন, কথাগুলো আংশিক সত্য। সব সঠিক না হলেও অনেক কথার মধ্যে অনেক সঠিক ব্যাপার থাকে।”
শনিবার ঢাকার বনানী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
জাপা নিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন প্রসঙ্গে জি এম কাদের বলেন, “সরকার আমাদের সংসদে নিয়ে গেছে। এটা আংশিক সত্য, সার্বিকভাবে এটা সত্য নয়।”
তিনি বলেন, “আমরা নিয়ন্ত্রিত হয়েছি, এটা পারশিয়ালি কারেক্ট; আমরা চেষ্টা করছি বেরিয়ে আসার জন্য।”“বাস্তবতা হলো আওয়ামী লীগ একটা বিভ্রান্তিকর বিবৃতি দিয়েছে যে, আমরা ২৬টি সিট ছেড়ে দিলাম জাতীয় পার্টির ফেভারে। তারা একটা সিটও জাতীয় পার্টির ফেভারে ছাড়েনি,” যোগ করেন তিনি।
জি এম কাদের বলেন, “অনেকে এটাকে মহাজোট বলেছে, অনেকে সিট ভাগাভাগি বলেছে। এটা মহাজোট হয়নি, এটা সিট ভাগাভাগি হয়নি। এটা আওয়ামী লীগ ইচ্ছা করে করেছে অথবা ভুলক্রমে করেছে। আমাদের চরম ক্ষতি করেছে।”
তিনি বলেন, “আমি বলছি না যে দল ভাঙবে, কিন্তু দলের মধ্যে সংশোধন হওয়া দরকার আছে। কঠোর সংশোধন যদি আমরা করতে না পারি, সামনের দিকে দল ভাঙবে না—দল টিকবে না।”
কাদের বলেন, “সংসদে সংখ্যা কোনো ব্যাপার না। ছয়জন লোক সংসদ কাঁপিয়ে দিয়েছিল গত সংসদে। দুই-তিনজন লোক থাকলেই কাঁপিয়ে দেওয়া যায়। যদি সত্যি কথা বলা যায় এবং বলার সুযোগ পাওয়া যায়।”তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ-বিএনপির বাইরে একটা শক্তিকে গ্রহণ করার জন্য জনগণ বসে আছে। জনগণ জানে, আওয়ামী লীগ চলে গেলে, বিএনপি এলে শুধু মানুষের চেহারার পরিবর্তন হবে।”
দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, “আমাদের দলের ব্যাপার মানুষের পারসেপশনটা কিন্তু খুব একটা ভালো নয়।”