মানবতা বিরোধী অপরাধে সরাসরি সম্পৃক্ত যুদ্ধাপরাধী এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি মো. আবুল খায়েরকে (৭০) গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে র্যাব-১০ এর উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম এসব তথ্য জানান। এর আগে বুধবার রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১০ এর একটি দল বুধবার দুপুর আনুমানিক ২টার দিকে উত্তরা-পশ্চিম থানার ১৪নং সেক্টর আহালিয়ার মাষ্টার গলি এলাকায় ঝটিকা অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। আজ বৃহস্পতিবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ পাঠানো হয়েছে।
মো. আবুল খায়ের নোয়াখালি জেলার কোম্পানিগঞ্জ থানার চর ফকিরা গ্রামের মৃত দানা মিয়ার পুত্র। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ কর্তৃক ইস্যুকৃত গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত যুদ্ধাপরাধী মামলার পলাতক আসামি সে।
র্যাব উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম জানান, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় নোয়াখালি এলাকায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে মো. আবুল খায়েরসহ অন্যান্য যুদ্ধাপরাধী রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা অপহরণ, নৃশংস হত্যাকান্ডসহ মানবতা বিরোধী অপরাধে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল। সাত মুক্তিযোদ্ধাসহ মোট ১০ ব্যক্তিকে হত্যা করে তারা। এই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তার নামে মামলা দায়ের হয়। মামলা নং-৮৭।
তিনি আরও জানান, গত ২০২১ সালের ৫ ডিসেম্বর যুদ্ধাপরাধী মো.আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর থেকে আসামি দেশের বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে আত্মগোপনে চলে যায়।
র্যাব বলছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি ওই ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ত থাকার কথা অকপটে স্বীকার করেছে। গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির পর থেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখে ফাঁকি বা গ্রেফতার এড়ানোর জন্য সে বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে আত্মগোপনে থাকত।