একটি সিনেমাই পারে একটি ইতিহাসকে তুলে ধরতে। শরৎচন্দ্রের সৃষ্ট বিভিন্ন চরিত্র নিয়ে নির্মিতব্য সিনেমা ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’। ২০১৮ সালের ১৫ জানুয়ারি ঘটা করে সিনেমাটির মহরত হয়। এরপর একই বছরের ২২ এপ্রিল এফডিসিতে সিনেমাটির শুটিং শুরু হয়। সিনেমাটিতে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন গাজী রাকায়েত। পার্বতী চরিত্রে অভিনয় করছেন চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভিন পপি, দেবদাসের চরিত্রে ফেরদৌস আহমেদ। সিনেমাটি পরিচালনা করছেন আরিফুর জামান আরিফ।
সিনেমার ৪৫ শতাংশ কাজের পর দৃশ্যধারণ বন্ধ হয়ে যায়। বেশ কয়েকবার পরিচালক সিনেমাটি শেষ করার কথা জানালেও আর শুটিং ফ্লোরে গড়ায়নি। এর অন্যতম কারণ সিনেমার নায়িকা পপির খোঁজ মিলছে না।
পরিচালক চাইছেন খুব শিগগিরই সিনেমাটির বাকি অংশের শুটিং শেষ করে মুক্তি দেওয়ার। সেজন্য খুঁজে বেড়াচ্ছেন পপিকে। কিন্তু এই নায়িকার কোনো খোঁজ নেই প্রায় দুই বছর ধরে। এর মধ্যে শোনা গেছে, পপি বিয়ে করে মা হয়েছেন। সংসার নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনি আর চলচ্চিত্রে ফিরছেন না।
যে কারণে বিপাকে পড়েছেন নির্মাতা আরিফুর জামান আরিফ। তিনি বলেন, নানা কারণে আজও আমার প্রথম সিনেমাটির শুটিং শেষ করতে পারিনি। বেশ কয়েকবার শুটিংয়ের পরিকল্পনা করেও পারিনি। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরই সিনেমাটির কাজ শেষ করা হবে। রোজার ঈদের পর শুটিং করার পরিকল্পনা হচ্ছে।
পপি প্রসঙ্গে আরিফ বলেন, তার (পপির) শুধু একটি গান বাকি। সিকোয়েন্স সব শেষ। তবে সিনেমাটিতে গানটা জরুরি। এটি ছাড়া কাজটি অসম্পূর্ণ হবে। তার সঙ্গে যোগাযোগের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। একান্ত না পেলে বিকল্প ভাবতে হবে। দুই দিন শুটিং বেশি করতে হবে। তবে আমি আশাবাদী তাকে পাব। বাকি শিল্পীদের সিকোয়েন্স ঠিক আছে।
এদিকে প্রথম ধাপের শুটিংয়ে অংশ নেওয়ার পর পপি বলেছিলেন, আমার অনেক স্বপ্নের চরিত্র পার্বতী। নামটি শুনলেই যেন নিজের ভেতর কেমন শিহরিত হই আমি। পার্বতী একটি ঐতিহাসিক চরিত্র। আমার মনে আছে এই চরিত্র নিজেকে যথাযথভাবে উপস্থাপনের জন্য অনেক কষ্ট করে গেটআপ নিয়েছিলাম। বেশ কিছুদিন শুটিংও করেছি। কিন্তু সিনেমাটি শেষ হয়েও শেষ হচ্ছে না। আমি চাই এই সিনেমাটি দ্রুত শেষ হোক। কারণ, নিজেকে পার্বতীরূপে পর্দায় দেখার জন্য আমি নিজেই মুখিয়ে আছি। আমার বিশ্বাস নির্মাতা এবং প্রযোজক দ্রুত এই সিনেমার কাজ শেষ করবেন। দর্শকও তাদের প্রতীক্ষার প্রহর শেষে সিনেমাটি দেখতে হলে হলে যাবেন।
সিনেমাটিতে আরও অভিনয় করেছেন আমিন খান, আনিসুর রহমান মিলন, মৌসুমী হামিদ, তমা মির্জা,মানসী প্রকৃতি, তামান্না শম্পা, আমিন শাহ্, রাশেদ, ফরহাদ হায়দার ও রামেন্দু মজুমদারসহ প্রমুখ। সিনেমাটির কাহিনি ও সংলাপ করেছেন হাশিম আখতার মো. করিম। গীতিকবি মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের কথায় সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন আলী আকরাম শুভ। দুটি গানের একটি গান যৌথভাবে গেয়েছেন প্রয়াত সুবীর নন্দী ও সাবিনা ইয়াসমিন। আরেকটি একাই গেয়েছিলেন সাবিনা ইয়াসমিন।