সৌন্দর্য পিয়াসীরা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ত্বক ও চুল ভালো রাখতে নানা কসরত করেন। যারা ঘরোয়া উপায়ে ত্বক ও চুল ভালো রাখতে চান, তাদের জন্যে রইলো কিছু কার্যকরী পরামর্শ।
যাদের ত্বক তৈলাক্ত ও ব্রণ আছে, তারা প্যাক ধুয়ে ফেলে ময়েশ্চারাইজারের বদলে ব্যবহার করুন অ্যাসট্রিনজেন্ট। ঘরোয়া অ্যাসট্রিনজেন্ট হলো গোলাপজল ও শশার রস। শশার রস করে বরফ জমানোর পাত্রে রেখে আইস – কিউব করে নিতে পারেন। প্রতি রাতে রস বানানোর ঝামেলায় না গিয়ে একটি কিউব মুখে ঘষে নিন। এরপর ঘুমিয়ে যান।
সমপরিমাণে পুদিনা পাতা ও নিমপাতা বেটে শুধু ব্রণ ও দাগের উপর লাগিয়ে ঘুমান। সকালে উঠে ধুয়ে ফেলুন। পুদিনা পাতা ব্যবহার করতে পারেন ফেসপ্যাকেও। ব্রণের জন্য দারুন উপকারী।
চোখের ডার্ক সার্কেল কমাতে ঘুমানোর আগে কুরানো শশা বা আলু ঠান্ডা হলে ভালো অথবা ঠান্ডা টি ব্যাগ চোখের উপর দিয়ে রাখুন ১০ – ১৫ মিনিট। এটা ডার্ক সার্কেল সারাতে খুবই কার্যকরী।
রাতে পা প্রথমে সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে, ২ টেবিল চামচ কুসুম গরম অলিভ অয়েল ও ১ চা চামচ লবণের মিশ্রণ তৈরি করে সেটা পায়ে ভালো করে মাসাজ করুন। এতে পায়ের মৃতকোষ ঝরে যাবে, গোড়ালি নরম হবে এবং রক্ত চলাচল ভালো হবে। পরে ধুয়ে লোশন লাগিয়ে নিন। হাতের যত্নও নিতে পারেন একইভাবে। এরপর ঘুমাতে যান।
যদি বড় চুল হয়, তাহলে ঘুমানোর আগে বেণি করে নিন। তাতে চুল সারা রাত ঘষা খাবে না। ছোট চুল হলে খোলা রেখে শুলেও অসুবিধা নেই। তবে চুলে তেল মাসাজ করে শুলে ঘুম ভালো হবে, চুলও ভালো থাকবে।
অনেকেরই নখ ফেটে বা ভেঙে যাওয়ার সমস্যা থাকে। এটা চাইলে কমাতে ঘুমানোর আগে হাত – পায়ের নখে জলপাই তেল (অলিভ অয়েল) মাসাজ করে নিন। এতে নখ সারা রাত আর্দ্রতা পাবে।
নরম গোলাপি ঠোঁট পেতে প্রতি রাতে ভ্যাসলিনের সঙ্গে অল্প পরিমাণ লবণ মিশিয়ে ঠোঁটে মাসাজ করুন। এরপর ঠোঁট ধুয়ে নিন। এতে ঠোঁটের মৃত কোষ ঝরে ঠোঁটে আসবে উজ্জ্বলতা।
কখনোই মেকআপ না মুছে ঘুমাতে যাওয়া উচিত নয়। মেকআপ যখনই করুন, মুখ পরিষ্কার করতে হবে, তা না হলে ত্বকের ক্ষতি হবে। তাই মেকআপ মুছে ঘুমানোই ভালো।
নিয়মিত পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। পেট পরিষ্কার রাখার জন্যও পানি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এতে ত্বক ভালোও থাকে।