খোলাবাজারে ডলারের দাম কিছুটা কমেছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) প্রতি ডলার বিক্রি হচ্ছে ১২৪ টাকা ২০ পয়সায়। মতিঝিলের কয়েকটি মানি এক্সচেঞ্জ হাউস ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত সপ্তাহে ডলারপ্রতি দর ছিল ১২৩ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ১২৪ টাকা। সেই হিসাবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কার্বমার্কেটে মার্কিন মুদ্রাটির মূল্য হ্রাস পেয়েছে ২০ থেকে ৪০ পয়সা। যদিও ডলারের এই দাম বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, সর্বোচ্চ ১১১ টাকা ১০ পয়সায় ডলার কিনতে পারবে মানিচেঞ্জারগুলো। আর সর্বাধিক ১১২ টাকা ৬০ পয়সায় বিক্রি করতে পারবে তারা।
ডলার ক্রেতারা অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ধার্য করা দামের চেয়ে বেশি দরে ডলার বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে এক্সচেঞ্জ মালিকরা দাবি করছেন, তারা বেঁধে দেয়া দরই রাখছেন।
আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম ১১০ টাকা। এই রেটের চেয়ে খোলাবাজারে সর্বোচ্চ দেড় টাকা বেশি দাম রাখা যাবে।
গ্রাহক আহসান হাবিব বলেন, ‘মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা করছেন। ফলে ন্যায্য দরে তা পাওয়া যাচ্ছে না। এখন যা কমেছে সেটা সাময়িক বলে মনে হচ্ছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাইনিজ নববর্ষের কারণে বাংলাদেশের আমদানি ও রপ্তানি কমেছে। নববর্ষ উদযাপনের মূল অনুষ্ঠান আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এই সময় দেশটিতে ছুটির আমেজ থাকায় ডলার ওপর চাপ কমেছে। তবে ফেব্রুয়ারির মধ্যভাগ থেকে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডলারের চাহিদা বাড়তে পারে।